আরাকান আর্মি কার? 

আরাকান আর্মি কারা?


1 আরাকান আর্মি (Arakan navy, AA) মিয়ানমারের একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী। এটি ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান (ইউএলএ) এর একটি সামরিক শাখা। এটি রাখাইন রাজ্য (আরাকান) ভিত্তিক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এটি ১০ এপ্রিল, ২০০৯ এ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

আরাকান আর্মি কারা?
আরাকান

২ মেজর জেনারেল তোয়ান মারত নাইং এবং ২৫ জন কমরেড দ্বারা আরাকান আর্মি প্রতিষ্ঠিত হয়। গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক লক্ষ্য হল “way of Rakhita,” এর মাধ্যমে “আরাকান জাতি” তৈরি করা যাদের মূল লক্ষ্য জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম এবং আরাকানের জনগণের কাছে আরাকান সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার”। মিয়ানমারে নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি তুলে প্রায় এক যুগ আগে এর সাংগঠনিক উদ্যোগ শুরু হয়। আরাকান আর্মির দুই শীর্ষ নেতা, মেজর জেনারেল তোয়ান মারত নাইং এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোয়ান আউং। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরাকান আর্মি প্রধান দাবি করেন যে গোষ্ঠীটির ৩০,০০০ এরও বেশি সৈন্য এখনো আছে।

 সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণ, আরাকান জনগণের জাতীয় পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা ও আরাকান জনগণের “জাতীয় মর্যাদা” এবং সর্বোত্তম স্বার্থের পক্ষে কাজ করে।

. রাখাইনের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলেই শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে আরাকান আর্মির। এছাড়া বুথিয়াডং, রাথেডং, পোনাহগুন ও কুইকতাওয়েও নিয়ন্তণ করেন। শিন প্রদেশের পালেতায়াতে শক্ত অবস্থান রয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির। ফলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে এটি।

 এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে নিজেদের অভয়রাজ্য গড়ে তুলেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কয়েকবার বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে আরাকান আর্মির। রাখাইনে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে চালানো সামরিক আগ্রাসনের জবাব দিচ্ছেন তারা। এক সাক্ষাতাকারে আরাকান আর্মির প্রধান তোয়ান মারত নাইং বলেন, ‘রাখাইনের অবশ্যই নিজেদের বাহিনী থাকা উচিত মনে করেন। এমন সশস্ত্র বাহিনী থাকলেই রাখাইনের জাতিগোষ্ঠী টিকে থাকবে

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *